প্রাণ ফিরেছে বগুড়া সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাটে
বগুড়া থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার পূর্বে যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত সারিয়াকান্দিতে আছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। একজন নদীপ্রেমী মানুষ কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে সারিয়াকান্দির দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন।
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। নাব্যতা ফেরায় প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালিতলা নৌঘাটসহ অন্যগুলোতে। নদীবর্তী এলাকাতে যে সকল দোকান রয়েছে তাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি বেচা-কিনা হচ্ছে। তাদের মনের লেগেছে খুশির আমেজ। যা কখনো তারা এর আগে পাইনি। স্থানীয়রা জানান যে, তারা এরকম দর্শনার্থী এর আগের এখানে আসতে দেখেনি। যতই দিন যাচ্ছে ততই সারিয়াকন্দির দর্শনার্থীদের ভির বারছে।
অনেক ঘাটের তুলনায় সারিয়াকান্দি ঘাটেই পর্যটকদের ভীড় বেশি লক্ষ্য করা যায়। এখানে আছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান ও হোটেল। হোটেলগুলোতে গিয়ে নদীর রান্না করা মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। এছাড়া নদীর সৌন্দর্য উপভোগ অথবা চরে গিয়ে ঘুরে আসতে চাইলে নৌকায় চড়তে পারেন।
প্রেম যমুনার ঘাট
"প্রেম যমুনা ঘাট" হলো একটি প্রসিদ্ধ স্থান, যা সারিয়াকান্দি (Sariakandi) নামক একটি উপজেলা শহরে অবস্থিত। সারিয়াকান্দি বগুড়া জেলার একটি উপজেলা এবং যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এই স্থানটি যমুনা নদীর মাঝের দিকে অবস্থিত, এবং এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল।
দৃষ্টিনন্দন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ ঘাট। কালীতলা ঘাট ঘুরে এসে এখানে পৌঁছাতে পারবেন। এখানে এসে প্রেম করে বলে নাম প্রেম যমুনার ঘাট নামকরণ করা হয়েছে কি না তা জানা না থাকলেও, প্রেম যমুনার ঘাট নামটি শুনলে যেকেউ বেশ মজা পান।
এই ঘাটের খোলামেলা পরিবেশ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। এরকম পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনিও এখানে যেতে পারেন।
কাশফুল বন সারিয়াকন্দি
কাশফুল বা কাশমুল ফুল বাংলাদেশের সাধারণ ফুলের মধ্যে একটি প্রতীকতা হিসেবে পরিচিত এবং প্রিয় ফুল। এই ফুলের রং সাদা থাকে এবং এটি সাধারণভাবে সৌন্দর্যপূর্ণ এবং মাধুর্যময় বলে ধরা হয়।
পড়ন্ত বিকেলে মনকে প্রফুল্ল করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন কোনো এক নিষ্পাপ প্রকৃতির মাঝ থেকে। প্রকৃতি আপনাকে সব সময়ই দেবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। এমন ভালোবাসায় কাটাতে পারেন একটি স্নিগ্ধ বিকেল। নগরজীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু শান্তির খোঁজে ক্ষণিকের জন্য যেতে পারেন সারিয়াকান্দি চরে কাশফুলের বনে।
দেবডাঙ্গা গ্রোয়েন বাঁধ
কালিতলা ঘাট কিংবা প্রেম যমুনার ঘাটে দর্শনার্থীরা গেলেও এটি সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় এই স্থান অতোটাও পরিচিত হয়নি। তবে এর মনোরম পরিবেশ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। এখানে সিএনজি, অটো অথবা ভ্যান যোগে পৌঁছাতে পারবেন।
সব ঘাটে আছে ইঞ্জিনচালিত ও ইঞ্জিন ছাড়া নৌকা ও লঞ্চ পাবেন। আপনি চাইলে সেসবে চড়ে মাত্র ২০-৪০ টাকা খরচ করে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
নদীপ্রেমী মানুষ অথবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে অবসরে এর সবকটি স্থানে গিয়ে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে কালীতলা ঘাট, এরপর প্রেম যমুনার ঘাট, তারপর ফিসপাস ও সবশেষে দেবডাঙ্গা গ্রোয়েন বাঁধে ঘুরতে যেতে পারেন।
এছাড়া যেতে পারেন সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া মসজিদে। মসজিদটি যমুনা নদীর পাড় ঘেঁষে হওয়ায় দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। এজন্য অনেকেই মসজিদটি দেখতে ভীড় করে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বন্যা হয়ে উঁচু উঁচু স্থান ডুবে গেলেও এখন পর্যন্ত এ মসজিদটি ডুবে যায়নি, এমনকি পানি পর্যন্তও প্রবেশ করে না।
বগুড়ায় কীভাবে যাবেন?
ঢাকাসহ যেকোনো জায়গা থেকে বগুড়া আসতে পারবেন। বাসের মধ্যে শ্যামলী পরিবহন, এসআর ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, ডিপজল এক্সপ্রেস, মানিক এক্সপ্রেস ইত্যাদির মধ্যে যে কোনোটি বেছে নিন।
ঢাকা থেকে বগুড়া রুটে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে লালমনী এক্সপ্রেস অথবা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে বগুড়া পৌঁছাতে পারেন। বগুড়া থেকে সিএনজি যোগে সরাসরি সারিয়াকান্দি পৌঁছাতে পারবেন। সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা। এরপর সারিয়াকান্দি সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে একটি অটো অথবা রিক্সা ভাড়া নিয়ে এসব দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন।
থাকবেন ও খাবেন কোথায়?
সারিয়াকান্দি থাকার সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। সেজন্য বগুড়া শহর থেকে কিছুটা দূরে ফাইভ স্টার হোটেল মম ইন, হোটেল নাজ গার্ডেন (চারমাথা), পর্যটন মোটেল (বনানী), নর্থওয়ে মোটেল (কলোনী) সহ আরও বেশ কয়েকটি হোটেল আছে।
বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। এর মধ্যে হোটেল আকবরিয়া, সেলিম হোটেলসহ আছে নানা মানের হোটেল। এর মধ্যে যে কোনোটি বেছে নিতে পারেন।
AI IMRAN
Digital Marketing Specialist
Digital marketing is a broad term that encompasses various online marketing strategies and tactics aimed at promoting products, services, or brands using digital channels.
0 Comments